এম.এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজিবাহী জাহাজ (টার্মিনাল) সাগরের তলদেশে পাইপ লাইনে সংযোগ দেয়ার সময় বিপর্যয় ঘটে। যার কারণে গত বৃহস্পতিবার থেকে চট্টগ্রামে বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। এতে গ্যাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সিএনজি চালকেরা। শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে নগরীর মুরাদপুর ও ২ নম্বর গেইটে সিএনজি পাম্পের সামনে এই বিক্ষোভ করে চালকেরা।
চালকেরা জানান, ২ দিন ধরে অনাহারে তাঁরা গ্যাস পাম্পগুলোর সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছেন। অনেকেই ঘুমও যায়নি। তারমধ্যে মালিকেরা ভাড়ার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। গ্যাস না পেলে গাড়ি কিভাবে চালাবো, প্রশ্ন তাদের। আর গাড়ির চাকা না ঘুরলে মালিককে ভাড়া দেওয়ার প্রশ্ন উঠে না।
ষাটোর্ধ সিএনজি চালক আবদুল মালেক জানান, ‘তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে পাম্পের সামনে গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করছি। তবুও অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। শরীরও ঝিমিয়ে এসেছে। ঠাণ্ডায় জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়েছি।’
জালাল উদ্দিন নামের আরেক চালক বলেন, ‘২ দিন ধরে ভাত-পানির হিসেব নেই। পরিবারের সবাই উৎকণ্ঠায় রয়েছে। গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্নাও করা যাচ্ছে না। অনেকেই না খেয়ে আছে। জানিনা কখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’
চালকদের দাবি, গ্যাস চালুর সুস্পষ্ট নোটিশ দিলে চালকেরা আর পাম্পের সামনে অপেক্ষা করতো না। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবা উচিত।
তবে কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু সাকলায়েন জানান, কক্সবাজারের মহেশখালীর ভাসমান টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ঘনফুট করে সরবরাহ শুরু করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।